উখিয়ায় চাকরির প্রলোভনে ছাত্রলীগ নেতার ধর্ষণের শিকার অর্ধশত নারী

বার্তা 52•

কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম আজাদের যৌন লালসার শিকার হয়েছেন চাকরি প্রত্যাশী অসংখ্য স্থানীয় নারী। অভিযুক্ত ইব্রাহীম আজাদ নিজেকে ক্ষমতাধর নেতা পরিচয় দিয়ে অসহায় নারীদের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আবাসিক হোটেলে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করতেন বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি সময়ে হাতে আসা অসংখ্য ছবিতে অভিযুক্ত ইব্রাহীম আজাদ একাধিক নারীর সাথে শারীরিক হেনস্তার দৃশ্য ফুটে উঠেছে। এছাড়াও রোহিঙ্গা মেয়েদের সাথে অন্তরঙ্গভাবে ভিডিও কলে কথা বলার ছবিও রয়েছে।

জানা যায়, বর্তমান উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম আজাদ নিজের দলীয় পদ ব্যবহার করে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকার মেয়েকে রোহিঙ্গাক্যাম্পে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কক্সবাজার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষন করতেন দিনের পর দিন। কেউ তার প্রতিবাদ করতে গেলে সে নিজের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে হুমকি দেন।

কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতা ইশতিয়াক আহমেদ জয় ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজমুল আলম সিদ্দিকী ইব্রাহিম আজাদের কাছের মানুষ বলে এসব অপকর্ম জড়িয়ে পড়েন এই অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা। নেতা পরিচয় দিতে ফেইসবুকে বিভিন্ন নেতার সাথে ছবি ব্যবহার করেন আজাদ।

এদিকে চাকরি দেওয়ার নামে বিভিন্ন মেয়েকে আবাসিক হোটেলে নিয়ে যাওয়া, শপিংমলে নিয়ে যাওয়া ও বিভিন্ন অন্তরঙ্গ ছবি নিয়ে কক্সবাজার জেলা জুড়ে চলছে নানা প্রতিক্রিয়া।

এই বিষয়ে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগে সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান জানান, কোন ব্যাক্তির ব্যক্তিগত অপরাধের দায় সংগঠন নেবে না। সংগঠনের কারো বিরুদ্ধে এ ধরণের কোন অভিযোগ আসলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, মাদক ও নারী ঘটিত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কোন ব্যাক্তিকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রশ্রয় দেয়না। সংগঠনের কারো বিরুদ্ধে সু-নিদিষ্ট অভিযোগ পেলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।